প্রকাশিত: ১১:১০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৫, ২০২৪
সারাদিন ডেস্ক
অবশেষে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া হলোনা। দিন শেষে বেরিয়ে পড়েছে আসল খবর। ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় রবিবার ( ১৪ এপ্রিল) গভীর রাতে পৃথক তিন গ্রামের তিন বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সশস্ত্র ডাকাত দল নগদ টাকা, মালামাল ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে। রাত ১২ টা থেকে তিন ঘন্টায় উপজেলার ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের নতুন ভূক্ত মালিথিয়া, উলুবাড়িয়া ও বন্দেখালি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। অথচ ওই গ্রাম গুলো স্থানীয় নাঙ্গলবাধ পুলিশ ফাঁড়ি (নতুন ভূক্ত মালিথিয়া) নিকটবর্তী।
ভূক্তভোগী নতুন ভূক্ত মালিথিয়া গ্রামের বাসিন্দা পল্লী চিকিৎসক নিহার বিশ্বাস জানান, রাত অনুমান ১২ টার দিকে দেয়াল টপকে ১০-১২ জনের মুখোশধারী ডাকাত বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়ে। এরপর বিল্ডিংয়ের গেট ভেঙে ঘরে প্রবেশ করার চেষ্টা করে। টের পেয়ে ডাক চিৎকার শুরু করলে ডাকাত দল পালিয়ে যায়। সিসি টিভিতে সংরক্ষিত আছে বলে তিনি জানান।
উলুবাড়িয়া গ্রামের ফরহাদ হোসেনের বাড়িতে একই রাত ১ টা ৩০ মিনিটের দিকে ৮-১০ জনের সশস্ত্র ডাকাত হানা দেয়। ফরহাদ হোসেন জানান, বাড়ির গেট দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে ডাকাতদল এবং অস্ত্রের মুখে পরিবারের লোকজনকে একটি কক্ষে জিম্মি করে ২টা সোনার চেইন, ৭টি আংটি , এক জোড়া কানের দুল, ৩টা স্বর্ণে ( মাথার) সিতা, ২০০ ডলার (সিংঙ্গাপুর), নগদ ১৭ হাজার টাকাসহ ৪ লাখ টাকার মালামাল লুটে নেয়।স
একই রাত ২-৩০ মিনিটের সময় উপজেলার বন্দেখালি গ্রামের জুমারত মন্ডলের বাড়ির দরজা ভেঙে ডাকাতদল ঘরে প্রবেশ করে । জুমারত মন্ডল জানান, অস্ত্রের মুখে পরিবারের লোকজনকে জিম্মি করে ২টা স্বর্ণের আংটি , ৩টা মোবাইল ফোন ও নগদ এক লক্ষ ৫০ হাজার টাকাসহ ৩ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় ডাকাত দল। এক পর্যায়ে ডাকাতদের ধাওয়া করলে বন্দুকের গুলি ছুঁেড় ডাকাতরা পালিয়ে যায়। এসময় জুমারত মন্ডলের নাতি ছেলে জিহাদ মন্ডলের গায়ে বারুদ ছুটে লাগে বলে জানান জুমারত মন্ডল। মজার ঘটনা হলো ডাকাতরা একটি একটি মোবাইল ফোন ফেলে গেছে। ফোন পুলিশ ক্যাম্পে জমা দেওয়া হয়েছে।
এবিষয়ে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম চৌধুরী রাত ৯ টা ৩০ মিনিটে যুগান্তরকে জানান, তিন বাড়িতে নয় দুই বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ফাড়ি কাছেই ঘটনাটি ঘটেছে বলে স্বীকার করেন ওসি। তিনি আরো জানান ডাকাত দলের ফেলে যাওয়া মোবাইল ফোনের সুত্র ধরে একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে। থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। যার নাম্বার -১৩।